west Bengal News: গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নবারুণ নায়েক। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তার স্ত্রী তনুশ্রী রায় নায়ককেও। ভুয়ো টেন্ডার দুর্নীতিতে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার পুলিশ নবারুণ নায়েক ও তার স্ত্রী তনুশ্রী রায় নায়ককে গ্রেফতার করে।
যা নিঃসন্দেহে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দুটি ভুয়ো টেন্ডার দিয়ে দেড় কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নবারুণ নায়েক ও তার স্ত্রী সহ মোট ৬ জনের নামে। ঘটনায় প্রতারিত ঠিকাদারের তরফ থেকে তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
যেখানে উল্লেখ করা হয় এই টেন্ডার দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত হল বিজেপির রাজ্য সম্পাদক নবারুণ নায়েক ও তার স্ত্রী তনুশ্রী নায়েক(রায়)। যারা তমলুক পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক ও তার স্ত্রী ছাড়াও অসমের বাসিন্দা দীপঙ্কর ধর ও সোমনাথ, পুলক, অলোক কুমারের নাম জড়িয়েছিল দুর্নীতিতে।
এই ঘটনায় অভিযোগকারী প্রতারিত ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দত্ত কলকাতার গড়িয়ার বাসিন্দা। গোটা টেন্ডারটি বিশ্বজিৎ ও তার সহযোগী ঠিকাদার ডায়মন্ড হারবারের কালীচরণ পুরের বাসিন্দা ভাস্কর মন্ডল নিয়েছিলেন। দুজনেই যখন প্রতারণার শিকার হয়েছেন জানতে পারেন তখনই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্য অসমের বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজনের বিভিন্ন কাগজপত্র দেখিয়ে কম্বল সরবরাহ করার জন্য দুই ঠিকাদারকে দিয়ে পৃথক দুটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন নবারুন। সেখানে দুটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোট ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা নেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নবারুণ নায়েক।
সেই ঘটনায় এর আগে একাধিকবার তমলুক থানার তরফ থেকে নবারুণ নায়েক ও তার স্ত্রীকে জেরা করা হয়। বেশ কয়েকবার হাজিরা এড়িয়েছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার চতুর্থ পর্যায়ের পুলিশি জেরায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। আর তার জেরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তমলুক থানার তরফ থেকে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নবারুণ নায়েক ও তার স্ত্রী তনুশ্রী রায় নায়ককে গ্রেপ্তার বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।
এই ঘটনায় আগেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন নবারুণ। তবে মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের পর কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজের শাসক দল তৃণমূল। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “বিজেপি মানেই তোলাবাজ ভর্তি। আমরা আগেই জানিয়েছিলাম। ওদের দলে চোর, গুন্ডা, হার্মাদে ভর্তি। পুলিশ তদন্ত করুক।”
Author: VS NEWS DESK
pradeep blr